You are currently viewing ঈশ্বর কি সত্যিই আছেন? ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমান কি?  Does Ishwar Really Exist?

ঈশ্বর কি সত্যিই আছেন? ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমান কি? Does Ishwar Really Exist?

ঈশ্বরের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে? অনুসন্ধিৎসু মন কি বার বার জানতে চাইছে ইশ্বর সত্যিই আছেন কিনা? কোনভাবেই ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারছেন না? অথবা ঈশ্বরে প্রতি তুমুল ভক্তি শ্রদ্ধার আড়ালে হঠাত কি উকি দেয় সন্দেহ?  তাহলে এই ভিডিওটি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দেবে। শাস্ত্রীয় রেফারেন্স ছাড়াও ভিডিওটির শেষে রয়েছে একটি অসাধারন ঘটনার বর্ননা যা ঈশ্বর সম্পর্কে আপনার এত দিনের ধারনা পাল্টে দেবে। ঈশ্বরতত্ব বরাবরই জটিল একটি বিষয়, তবুও সনাতন এক্সপ্রেসের দর্শকদের জন্য সহজভাবে উপস্থাপন করার এই প্রয়াসে শেষ অবধি আপনাদের সংগ আমাদের একান্ত প্রয়োজন।

 

সাধারণ অর্থে মানুষ মনে করে থাকে ঈশ্বরের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যাওয়া মানেই ধর্ম থেকে বিশ্বাস উঠে যাওয়া। কিন্তু আসলেই কি তাই? এটা যাচাই করতে গেলে “ধর্ম কী?” এই বিষয়টা আমাদের জানা দরকার।

মনুসংহিতায় ধর্মের বর্ণনা দিতে গিয়ে মনুষ্য ধর্ম হিসেবে বলা হয়েছে-ধর্ম হলো কোনো ব্যক্তি, প্রাণী, মনুষ্য সেই উচ্চমার্গীয় জীব যার এই গুণ থাকবে —

ধৃতিঃ ক্ষমা দম অস্তেয় শৌচং ইন্দ্রনিগৃহ।

ধীঃ বিদ্যা সত্যম্ অক্রোধ দশকম ধর্মস্য লক্ষণম্।।

অর্থাৎ, ধৈর্য, ক্ষমা, সংযত ভাব, চুরি না করা, পরিষ্কার পরিছন্নতা, ইন্দ্রিয়কে সংযত রাখা, বুদ্ধি, বিদ্যা, সততা এবং রাগ না করার মধ্যে একজন ব্যক্তির মনুষত্ব প্রমাণিত হয়। এই ১০ লক্ষণ একটি পশুকেও মানুষ হিসেবে বিবেচিত করাতে পারে। এবং এই ১০ টি লক্ষন বা বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে মানুষের ধর্ম। তাই ধর্মহীনতা আর ঈশ্বরে বিশ্বাসহীনতা কখনই এক বস্তু নয়। কারন এই ১০ টি গুন অর্জন করে কোন নাস্তিকও মহা ধার্মিক বনে যেতে পারেন।

 

এবার আসা যাক মূল কথায়। মানুষের মনে বিশ্বাস অবিশ্বাসের একটা দ্বন্দ্ব সবসময়ই থাকে। এই দ্বন্দে যখন বিশাস জয়ী হয় তখন তা মানুষকে আস্তিক তৈরি করে আবার যখন অবিশ্বাস জয়ী হয় তখন তা মানুষকে নাস্তিক তৈরি করে।

আস্তিক্যবাদের মুল কথা অদৃশ্য ঈশ্বরকে জ্ঞানেন্দ্রিয় দ্বারা উপলব্ধি করে তার বশ্যতা স্বীকার করা হলেও সাধারন আস্তিকদের ক্ষেত্রে ঈশ্বরের অস্ত্বিত্ব সেখান থেকেই শুরু হয় যেখানে মানুষের জ্ঞান, দৃষ্টি, ও ক্ষমতা শেষ হয়ে যায়। অন্যদিকে নাস্তিক্যবাদের মুলনীতি হচ্ছে চাক্ষুষ প্রমান। ঈশ্বরকে যেহেতু সাধারন দৃষ্টিতে দেখা যায় না তাই ঈশ্বরের অস্তিত্বও তাদের দৃষ্টিগোচর হয় না।

 

তাহলে উপায়? ঈশ্বর আছেন কি নেই বুঝবেন কিভাবে? আসুন আপাতত আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করা যাক।

বলা হয় ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতি অনেক প্রাচীন। আর তাদের ধর্ম বিশ্বাস তথা সনাতন ধর্ম সর্বাপেক্ষা প্রাচীন। কিন্তু এতো বছর ধরে কোন যুদ্ধ সংঘাত ছাড়া এই মানুষগুলো একই আস্থা নিয়ে আছে কেমন করে? প্রশ্ন তো আসবেই, কেমন করে তাদের মাথায় একবারও এলো না ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ নিয়ে কোনো প্রশ্ন?

আরও পড়ুনঃ  মান্ধাতার আমল || কে এই রাজা মান্ধাতা? শ্রীরামচন্দ্রের সাথে তাঁর কি সম্পর্ক? The Legend of Mandhata

 

কারণটা এমন, অন্যান্য বিশ্বাস অপেক্ষা ভারতীয় উপমহাদেশে ঈশ্বরের ধারণাটা যেমন একটু আলাদা তেমনই তার বিশ্বাসের মাধ্যমটাও। এখানকার মানুষ ঈশ্বরের অনুভব পান তার বর্ণনার মাধ্যমে। সহজ ভাষায় “ঈশ্বর কী, কে ঈশ্বর?” এই প্রশ্নের উত্তর কিছুটা এমন —

ॐ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদম্ পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে।

পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে।।

বৃহদারণ্যক উপনিষদের এই শ্লোকের সরলার্থ হল, যিনি এই বিশ্ব সংসার এর পূর্ণরূপ, তার হতেই সবকিছু পূর্ণ হয় এবং তার মধ্যেই পূর্ণরূপ বিরাজমান।

এই বর্ণনা অনুযায়ী ঈশ্বরকে দেখতে গেলে তো সবকিছুতেই ঈশ্বর অবস্থান। প্রকট হয় স্বামী বিবেকানন্দের বাণী —

“বহুরূপে সম্মুখ তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?

জীবে প্রেম করে যে জন সেজন৷ সেবিছে ঈশ্বর।”

 

তাই ভারতীয় উপমহাদেশের সনাতনী বিশ্বাসটাই এমন যে, জগতে যা আছে সব ঈশ্বরের সাকার রূপ। পরমাত্মা তার ঊর্জা তথা শক্তি দিয়ে সব কিছুতে আছেন। তিনিই সবকিছু। এজন্যই বলা হয়, ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা। এখানে ঈশ্বর হলো সেই ঊর্জার নাম যা সবকিছুর সৃষ্টির কারণ। আরও সরল্ভাবে বললে, ঈশ্বর হচ্ছেন সেই অনন্ত অসীম সত্বা যিনি নিজেই সৃষ্টিকর্তা রূপে সৃষ্টি করেন আবার নিজেই সৃষ্টির মধ্যেই বিরাজ করেন।

 

ভারতীয় শাস্ত্র মতে, সৃষ্টি প্রক্রিয়া দুইভাবে বর্ণিত হয়েছে। প্রথম সৃষ্টি প্রক্রিয়াটি হচ্ছে দৈব, অর্থাৎ,

যেখানে প্রতিটি বস্তু, জীব ইত্যাদিতে ঈশ্বর আত্মারূপে থাকেন। এবং দ্বিতীয় সৃষ্টি প্রক্রিয়াটি হচ্ছে

বস্তুগত, যেখানে প্রতিটি বস্তু, জীব ইত্যাদিতে ঈশ্বর শক্তি রূপে থাকেন। কিন্তু মূলে একই। হ্যাঁ, একটু জটিল কিন্তু সত্য তো এটাই যে জগতটা অনেক জটিল। এর বিষয় বুঝা এতো সহজ নয়।

এবার আসুন সেই স্থান থেকে শুরু করা যাক, যেখানে কারও অস্তিত্ব নেই। সম্পূর্ণ শূন্য। সেখানে কারোও অস্তিত্ব নেই কিছুই নেই । আসেপাশে যা আছে তাও নেই। আগে যা ছিলো তাও নেই। বর্তমান ভবিষ্যত কিছুই নেই। জন্ম মৃত্যু, দিবা রাত্রি প্রভেদ নেই। আছে শুধু সেই ঊর্জা। আর এটাই হল সৃষ্টির সূচনা। অর্থাৎ সমস্ত সৃষ্টির আগে সমগ্র ব্রহ্মান্ড ঠিক এমনই ছিল।

 

এই ঊর্জাকেই দৈব বর্ণনায় ব্রহ্ম বা সদাশিব হিসেবে বর্ণনা করা হয়। আর এই পরব্রহ্মের মন থেকে কারণ নির্গত হলো। বিষ্ণু পুরাণে একে বলে কারণ সলিল। অর্থাৎ সেই তরল যা হতে সবকিছু সৃষ্টি হবে। আর যিনি কেন্দ্র হতে দৃশ্যমান হলেন তিনি হলেন বিষ্ণু। তিনি সেই কারণ সলিল হতে তিনি হিরণ্যগর্ভ সৃষ্টি করতে লাগলেন এবং তাতে স্বয়ম্ভু হয়ে নিজের স্থান করে নিলেন।

এবার আসি সেই হাজারো ব্রহ্মাণ্ডের তথা হিরণ্যগর্ভের একটি অর্থাৎ আমাদের ব্রহ্মাণ্ডে। এখানেও কারণ সলিল বিদ্যমান। আর বিষ্ণু এখানে সময়ের বেড়াজালের ওপর শায়িত হয়ে আছেন, যা প্রকৃত অর্থে বুঝায় ঈশ্বরের স্থান সময়েরও ওপরে। আর দৃশ্যতঃ তিনি অনন্ত নাগের উপর শায়িত।

আরও পড়ুনঃ  মহাদেবের কৈলাসের ৯ অমীমাংসিত রহস্য || 9 Unsolved Mysteries of Kailash Mountain of Shiva

বিষ্ণুর নাভিকমল হতে নির্গত হলেন ব্রহ্মা। তিনি নিজেও প্রথমে বিষ্ণুকে জানেন না। যোগ বলে তিনি বিষ্ণুর দর্শন পেলেও মেনে নিতে না পারলে পরমেশ্বরের রুদ্র রূপ প্রকট হয়। শিব পুরাণের লিঙ্গোদ্ভব অংশে এর বর্ণনা আছে। সময়ের এই অংশে এসে কারণ সলিল একটি স্থানে ঘনীভূত হয়ে ওঠে শিবের ধ্যান বলে।

এবার সেই কারণ সলিল নির্মিত পিণ্ড উপরে ও নিচে উঠতে লাগলো। আর মধ্যেও তার বিস্তার হতে থাকে। এই স্তম্ভকেই বলে লিঙ্গ।

বস্তুগত ধারণায় তো সবকিছুই সাধারণ চোখে যা দেখা যায় তেমনি। কিন্তু দৈব ভাবে লিঙ্গ হতে শিবের উৎপত্তি কালে একে একে পঞ্চতন্মাত্রের তথা রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, ও শব্দ সৃষ্টি হয় , পঞ্চতত্ত্ব দেবতাগণ তাদের সাকার রূপ পায়। বস্তুগত সূর্য গোল হলেও দৈব তথা আত্মারূপ সূর্য হয় এক চক্র রথে অরুণ পরিচালিত শ্বেত সপ্ত অশ্বের টানা রথে স্থিত দেব।

এখানে এক চাকা বিশিষ্ট রথটি একটি দড়ি দ্বারা তার ঘূর্ণন কেন্দ্রের সাথে বাঁধা, যা হলো সূর্যের কেন্দ্রমুখী বল। আর সাতটা ঘোড়া সাত রঙের দৃশ্যমান আলো যা একসঙ্গে থাকে বলে সাদা দেখায়।

 

দৈব ঘটনা বাদ দিলে সাধারণ চিন্তার কথা গুলোই আসে। কিন্তু শুরুটা হয় Big Bang -এর আগে থেকে। যেখানে সব পরমাণুগুলো সৃষ্টি হয় শক্তি হতে। আর তা ঘনীভূত হয়ে ব্রহ্মাণ্ডের নির্মাণ করে। তা আরও ঘনীভূত হয়ে বিষ্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটায় নিম্নে ও উর্ধে যা লিঙ্গাকৃতি সৃষ্টি করে আর চারদিকে ছড়িয়ে পরে। এখানের অনাদি অনন্ত শক্তিই ঈশ্বর।

জটিল হলেও ঈশ্বরের অস্তিত্ব আশাকরি কিছুটা অনুধাবন করতে পেরেছেন। তাকে অনুভব এবং পাওয়ার জন্য আমাদের উচিৎ তার অস্তিত্ব আমাদের অত্যন্ত কাছের কিছুর মধ্যে অনুভব করা। আর আমাদের আত্মা হলো সেই দৈব বস্তু যা ঈশ্বরের মূল অংশ। আমাদের প্রাণের শক্তি আমাদের আত্মা যা সেই ঊর্জা থেকেই এসেছে। নিজেকে তথা নিজের আত্মাকে অধ্যায়ন করা বা জানার চেষ্টাকে বলে আধ্যাত্ম। আর নিজেকে অধ্যায়ন করে ঈশ্বরকে অধ্যায়েনর এই আধ্যাত্মবাদের এই নীতিতে চলতে গেলে যোগ-এর বিকল্প নেই। আর তাতেই পরমেশ্বরের দেখা তথা মোক্ষ প্রাপ্তি হবে। যা জীবনের মূল লক্ষ।

এবার আসুন ঈশ্বর আছেন কি নেই এ প্রশ্নের উত্তর স্বয়ং গৌতম বুদ্ধ কিভাবে উত্তর দিয়েছিলেন।

কোন এক রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে গৌতম বুদ্ধের কাছে একজন লোক এসে জিজ্ঞাসা করলেন “ঈশ্বর নামে কী কেউ আছেন?” বুদ্ধ উত্তর দিলেন “না, ঈশ্বর নামে কিছুই নেই।” বিকেলে আরেকজন লোক তাঁর নিকট এলো এবং জিজ্ঞেস করলেন, “ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে কী?” তাৎক্ষনিকভাবে বুদ্ধ উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, অবশ্যই আছে।” সেদিন সন্ধ্যায় তৃতীয় একজন ব্যক্তি সেই একই প্রশ্ন করলেন, “ঈশ্বর কী আছেন?”

আরও পড়ুনঃ  তুলসী মালা কেন পরিধান করবেন? না পরলে কি ক্ষতি? Why The Hindus Wear Tulsi Mala as Necklace?

এবার বুদ্ধ তাঁর চোখ বন্ধ করলেন এবং সম্পূর্ণ নিরুত্তর রইলেন। প্রশ্নকর্তা লোকটিও তার চোখ বন্ধ করলো। ঐ নীরবতার ভিতর এমন কিছু একটা ঘটে গেলো যার জন্য লোকটি বুদ্ধের পদযূগল স্পর্শ করলো। অবনত মস্তকে প্রণতি জানালো এবং বললো, “আপনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।”

সভাস্থলে বুদ্ধের শিষ্যরা তাজ্জব বনে গেলেন, গৌতম বুদ্ধ একই প্রশ্নের তিন প্রকার উত্তর কিভাবে দিলেন। সকলের জিজ্ঞাসু দৃষ্টি অনুধাবন করতে পেরে বুদ্ধ বললেন,

“প্রথম লোকটি একজন প্রবল আস্তিক, দ্বিতীয়জন প্রবল নাস্তিক। এবং তৃতীয়জন অজ্ঞেয়বাদী বা অনুসন্ধিৎসু।

প্রথম লোকটি আস্তিক হলেও তিনি তার আস্তিক্যবাদে অভিজ্ঞ ছিলেন না। তিনি নিজেই জানেন না ঈশ্বর আছেন নাকি নেই। তার সমস্ত জ্ঞান ধার করা। তাই আমি তাকে ‘ধার করা’ ঈশ্বর বিষয়ক ধারণা থেকে মুক্তি দিতেই “ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই” মর্মে উত্তর প্রদান করেছি। যাতে সে তার নিজের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ঈশ্বরকে উপলব্ধি করতে পারে।

দ্বিতীয় জন ঈশ্বরে অবিশ্বাসী হওয়ার সত্বেও, তার অবিশ্বাসের স্বপক্ষে আমার দিক থেকে নিশ্চয়তা খুঁজে পাবার লক্ষ্যে আমার কাছে প্রশ্ন করতে এসেছিল। প্রথম ব্যাক্তির মত ইনিও সেই একই ধার করা জ্ঞান নিয়ে নাস্তিক্যবাদ অনুসরন করছেন। বস্তুত ঈশ্বর আছেন নাকি নেই এই বিষয়ে তার কোন জ্ঞান নেই। তাই তার সেই ধার করা নাস্তিক্যবাদকে ধ্বংস করে নিজ থেকে ঈশ্বর বিষয়ক জ্ঞান উপলব্ধি করানোর জন্যই আমি তার প্রশ্নের উত্তরে “ঈশ্বর আছেন” বলেছি।

“এবং যে ব্যক্তির ব্যাপারে আমি নীরব ছিলাম, সে ছিলো একজন সঠিক অনুসন্ধিৎসু। তার কোন পূর্বধারণা বা বিশ্বাস ছিলো না। ফলে সেখানে ধ্বংস করার কোন প্রশ্নই ওঠেনি। আমি নীরবতা পালন করেছি। সেটিই ছিলো তার প্রতি আমার বার্তা: নিশ্চুপ হও এবং জানো। প্রশ্ন করো না। ঈশ্বর অনুসন্ধান উত্তরযোগ্য কোন প্রশ্ন বা ধাঁধা নয়। এটি তদন্ত করার মতোও কোন বিষয় নয়। এটি একটি গভীরতর অনুসন্ধানের এবং উপলব্ধির বিষয়।

তার সামনে আমি চক্ষু বন্ধ করেছি, সেও তাই করেছে। আমি অভ্যন্তরে দৃষ্টিপাত করেছি, সেও তাই করেছে। এবং তারপর কিছু একটা ঘটে গেছে। ‘আমি তাকে কোন প্রচলিত বুদ্ধিবৃত্তিক উত্তর দেইনি’। আমি শুধু তাকে উপলব্ধি করার পরামর্শ দিয়েছি মাত্র।

তাহলে দর্শক, ঈশ্বর আছেন কি নেই এমন প্রশ্নের উত্তর খুজতে বিশুদ্ধ জ্ঞান আহরন করুন এবং চোখ বন্ধ করে উপলব্ধি করুন। আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর স্বয়ং আপনার কাছে ধরা দেবে।

 

 

5/5 - (1 vote)

Leave a Reply